Pages

Saturday, May 19, 2018

লক্ষ্য অর্জনের সহজ ৮ উপায়/ 8 ways to achieve goals

লক্ষ্য অর্জনে অনড় ইচ্ছে শক্তি অথবা দিন-রাত পরিশ্রমের দরকার নেই। স্বাভাবিক জীবনযাপন উপভোগ করে সহজেই সম্ভব নিজের গন্তব্যে পৌঁছানো। কিছু কিছু জিনিস নিতে হবে সহজ ভাবে। সজাগ রাখতে হবে নিজের বুদ্ধিমত্তাকে। থাকতে হবে হাসিখুশি।
১। অর্থ খরচকে উদ্যোগ হিসেবে নিনঃ
লক্ষ্য অর্জনে অধিকাংশ সময় প্রথম ধাপ হিসেবে আসে পড়ালেখা। সে জন্য অর্থ খরচ হওয়াই স্বাভাবিক। অনেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন। এতে মধ্যবিত্তের বেশ অর্থ ধকল যায়। কিন্তু এই অর্থায়নে ভেঙ্গে পড়লে চলবে না। অর্থ খরচকে উদ্যোগ হিসেবে নিন।
২। নিজের আবাস স্থল হোক নিজের জগৎঃ
লক্ষ্য সামনে রেখে সাজিয়ে নিন আপনার ঘর ও আশেপাশের পরিবেশ। আপনি যদি মিউজিশিয়ান হতে চান সেক্ষেত্রে বিভিন্ন মিউজিকাল আইকনদের পোস্টার থাকতে পারে আপনার রুমে। আপনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে লক্ষ্য নির্ধারণ করলে রুমের মধ্যেই গড়ে তুলুন নিজের পছন্দের জগৎ। এতে জানতে সহজ হয়, মনে রাখার সুবিধা হয়।
৩। ছুটি পেলেই বেড়িয়ে পড়ুনঃ
পড়ালেখা বা চাকরি যেটাই পেশা হোক, তা একঘেয়ে করা বিপদজনক। এতে নিজ লক্ষ্যের প্রতি অনিহা চলে আসে। তাই ছুটি পেলেই ঘুরতে যাওয়া জরুরি। সেক্ষেত্রে আপনার লক্ষ্য সংশ্লিষ্ট স্থান হতে পারে ভ্রমণের গন্তব্য স্থল। যেমন ধরুন, কেউ বস্ত্র শিল্প নিয়ে পড়ছে বা চাকরি করছে। সে ঘুরে আসতে পারে বেনারসি পল্লী, তাঁতি বাড়ির মত জায়গায়। অথবা যেখানেই ঘুরতে যান খোঁজ নিতে পারেন আপনার লক্ষ্যবস্তু সম্পর্কিত বিষয়াদি। এতে ঘোরাঘুরি থেকেও বেরিয়ে আসবে নতুন ভালো কিছু।
৪। অপ্রয়োজনীয় ব্যাপারগুলো ত্যাগ করুনঃ
মারামারি, অনর্থক ঝগড়া বিবাদ থেকে দূরে থাকুন। এসব শুধু সময় নষ্টই করে না, দৈনন্দিন জীবনও ব্যাহত করে। কাউকে অপ্রয়োজনে কটু কথা বললে সে তা মনে রাখে। এবং সুযোগ বুঝে বড় কোনো ক্ষতি করে ফেলতে পারে। যা আপনার সারা জীবনের হতাশা হয়ে দাড়বে।
৫। নিজেকে নিজেই উপহার দিনঃ
সুন্দর স্বাভাবিক জীবনযাপনের তাগিদে অনেক কিছুই করা যায়। কারও জন্য অপেক্ষা করে না থেকে নিজেই নিজেকে উপহার দিতে পারেন। প্রাধান্য দিন নিজের পছন্দকে। এতে স্বনির্ভরশীলতা বাড়ে, পরনির্ভরশীলতা কমে। এগিয়ে যাওয়ার জন্য এর বিকল্প নেই।
৬। নিজের সঙ্গেই হোক নিজের প্রতিযোগিতাঃ
লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য প্রয়োজন ধাপে ধাপে উন্নতি। নিজের বিগত কাজের চেয়ে আগামীর কাজগুলো কীভাবে আরও ভালো করা যায় সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। তাই অন্যদের দিকে না তাকিয়ে সবার আগে প্রয়োজন নিজের সঙ্গেই নিজেকে প্রতিযোগিতায় নামানো।
৭। পছন্দের খাবার খান ও পর্যাপ্ত ঘুমানঃ
মানুষের দৈহিক চাহিদার তালিকায় সর্ব প্রথম খাবার। পছন্দের খাবার মন ভালো রাখে, কাজের গতি বাড়ায়। অন্যদিকে, পর্যাপ্ত ঘুমানো সবার জন্যই জরুরি। আপনি দিনে কমপক্ষে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা না ঘুমালে তা আপানকে অমনোযোগী ও দুর্বল করে তুলবে।
৮। যতটা সম্ভব হাসিখুশি থাকুনঃ
কথায় আছে- মন ভালো তো সব ভালো। তাই সব সময় হাসিখুশি থাকা জরুরি। কষ্টের স্মৃতি মাথায় না রেখে বর্তমানকে উপভোগ করা উচিৎ। নিজের পরাজয়ে ভেঙ্গে না পড়ে অংশগ্রহণেই খুশি থাকুন। যতটা সম্ভব হাসুন,মজা করুন।
 

Blogger news

Blogroll

About